কালিমার আলোচনা
কালিমায়ে তায়্যিবাহ
لا إله الا الله محمد رسول الله
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোনাে মা'বুদ (ইবাদতের উপযুক্ত) নেই। হযরত মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল।
"মারকাযে নমুনায়ে সুফফা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ"
অত্যান্ত দুঃখের হলেও সত্য কথা যে, একটু বে-খেয়ালীর কারণে আমরা কালিমায় অনেক ভুল পড়ছি যথাঃ-
১. لا اله الا الله অর্থঃ- আল্লাহ ব্যতীত কোনাে মা'বুদ নেই।
কিন্তু অনেক সময় আমরা لا লম্বা করে পড়ি না। তখন অর্থ হয়, অবশ্যই আল্লাহ ব্যতীত অন্য মা'বুদ আছে। আর কতদিন কালিমাতে শিরকী শব্দ উচ্চারণ করব?
২. কখনও الا الله এর ء এর স্থলে ع পড়ে থাকি, যা একটি মারাত্মক ভুল।
৩. محمدٌ رّسولٌ الله অর্থ : মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল।
(মুহাম্মদ) আমাদের প্রিয় নবীর নাম।
বড় ح দিয়ে حمدٌ থেকে নির্গত অর্থ প্রশংসিত।
আর ছােট ه দিয়ে همدٌ থেকে নির্গত; অর্থ নিঃশেষিত, আলােহীন। অথচ আমরা অনেকেই ছােট ه দিয়ে পড়ছি।
আর কতদিন নবীকে গালি দিব?
এ বিষয়ে বিস্তারিত আলােচনা কিতাবে রয়েছে।
কালিমা, কুরআন শরীফ ও দীন শুদ্ধ করে শিখার জন্য মারকাযে নমুনায়ে সুফফায় বা আলেমদের সাথে যােগাযোগ করুন।
আপনার মহল্লার মসজিদকে নমুনায়ে সুফফা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে প্রােগ্রামগুলাে আজই চালু করুন।
আমাদের প্রতিজ্ঞাঃ যেন একজন মুসলমানও আর ভুল কালিমা না পড়ে- এ বিষয়ে মেহনত করা। আসুন সবাই মেহনত করি।
"মানুষের কামিয়াবী ও সফলতা চারটি কাজের মধ্যে"
মানুষের সফলতা ও কামিয়াবী চারটি কাজের মধ্যে নিহিত, যা না করার ফলে আজ প্রায় শতকরা পঁচানব্বই ভাতা মুসলমান জাহান্নামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, কাজ চারটি হচ্ছে এই-
১. ইমান আনা;
২. আমলে-সালেহ তথা সৎকর্ম করা:
৩. সঠিক দীনের উপর থাকার জন্য একে অপরকে উপদেশ দিতে থাকা;
৪. আমলের পাবন্দী করার জন্য একে অপরকে উপদেশ দিতে থাকা।
অর্থাৎ কারও মধ্যে কোনও ক্রটি দেখতে পেলে তা সংশোধনের নসীহত করা।
এই চারটি কাজের উপর মানুষের সফলতা নির্ভরশীল হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তা'আলা সুরায়ে আসরে বর্ণনা করেছেন। যেমন ইরশাদ হচ্ছে-
بسم الله الرحمن الرحيم
و العـــصر (١
ان الانسان لفی خسر (٢
الا الذین اٰمنوا وعملوا الصٰلِحات وتواصوا بالحق (لا) وتواصوا بالصبر (٣
'কসম যুগের (সময়ের)! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, তবে তারা নয়,
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সংকর্ম করে এবং পপরস্পরকে সত্যের ও সবরের উপদেশ দেয়।
এই সূরায় আল্লাহ তাআ’লা শপথ করে বলেছেন,
মানবজাতি বড়ই ক্ষতির মধ্যে আছে। এর থেকে ব্যতিক্রম শুধু তার, যারা উল্লিখিত চারটি কাজে নিয়োজি।
দীন-দুনিয়ার ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার এবং বিরাট উপকার লাভের এই কোরআনী দিক-নির্দেশনাটির চারটি অংশ রয়েছে।
তন্মধ্যে প্রথম দু'টি তথা ঈমান ও আমলে সালেহ_
ব্যক্তির নিজের সংশোধন ও পূর্ণতার সাথে সম্পৃক্ত।
আর অপর দু'টি তথা অপরকে দীনের উপর অটল থাকার নসীহত এবং যথারীতি আ'মাল থাকার নসিহত_ তার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন এবং অন্যান্য সকল মুসলমানের দীনে হিদায়াত ও ইসলাহ এবং দীনের পূর্ণতার সাথে সম্পৃক্ত।
"সারকথা হলো" যারা নিজেরা ঈমান ও আ'মালের পূর্ণতা লাভ করে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্ললাম-এর তরীকা অনুযায়ী ভদ্র ও শালিনভাবে অন্যদেরও পূর্ণতা সাধন কর, তারা ক্ষতিগ্রস্ত নয়;
বরং তারা লাভবান।
হযরত সাহাবায়ে কেরাম এবং পরবর্তী বুযুর্গানে দীন এই কাজ-চারটি প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব ও মনোযোগ দিতেন।
আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে আমল করার শক্তি দান করুক।
(আমিন)
(বিঃদ্র) ১. (লা) لا কে কমপক্ষে এক আলিফ টানতেই হবে।
২. নিজে শুদ্ধ করে অন্যকে শুদ্ধ করিয়ে জাতিকে নাজাত দিন।
No comments